পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে?

Date:

Share post:

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে? 

সিদ্ধার্থ সমাদ্দার!
সমাজ বিকাশ সংবাদ 
কোলকাতা,

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে ? প্রশ্ন আসবে বাঙালী কে বা কারা ? পশ্চিমবঙ্গের জন্ম, বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস ।

1 লা মে মহারাষ্ট্র দিবস ,1 লা এপ্রিল* ওড়িশার উৎকল দিবস মহা ধুমধামের সাথে পালিত হলেও;

আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসকে অত্যন্ত সুকৌশলে বাঙালীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে,

দেশ ভাগের পরে পরেই তৎকালীন সর্ব ভারতীয় বাঙালী হিন্দু বিদ্বেষী সেক্যুলার নেতৃত্ব,

37 বছরের বামপন্থী ও আজকের কংগ্রেসের লিগ্যাসি বহনকারী অতি বামপন্থী সরকারও সদা সচেষ্ট |

কিন্তু একসময়ের আধুনিক ভারতের পথ প্রদর্শক, বিশ্ব জোড়া খ্যাতির শীর্ষে থাকা বাঙালী আজ আত্মবিস্মৃত, কিন্তু কেন ?

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এই ইতিহাসবিস্মৃত বাঙালী জাতির কাছে এর চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয়না |

 

মাত্র কয়েকটি দিন পরেই আসছে আর একটি দিন। 

20 শে জুন,1947 সালের এই দিনটিতেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট অংশের সদস্যদের 58 -21 ভোটে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক আইন সভা গঠিত হয়েছিল(কোন মুসলিম সদস্যই পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে ভোটে দেননি ) |

এই বিশেষ ( 20 শে জুন 1947 ) দিনটি ভারতীয় ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা না পেলে আজকের দিনেও কলকাতায় বসে বঙ্কিমচন্দ্রের যেসব  হিন্দু-বাবু-সম্প্রদায় তোষণের চাদর গায়ে দিয়ে ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর অহরহ মুণ্ডপাত করেন,

95% মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে এসে অতি সেক্যুলার সেজে

“মোরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু – মুসলমান ”

বলে বুদ্ধিজীবী হয়ে যান তারা অথবা তাদের পূর্বপুরুষরা কোথায় গিয়ে বাঙালী হিন্দুর এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতেন ?ভেবেছেন কি কখনও ?

 

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস।

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে?

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস।

বাঙালী হিন্দুর হাজার হাজার বছরের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হলো পশ্চিমবঙ্গ |

এই পশ্চিমবঙ্গের সেই বিজয় রথের মহান সারথী ছিলেন মহাভারতের বীর যোদ্ধা অর্জুনের রথের সারথী স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণের মতো বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখার্জীর সুপুত্র ড:শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী।

তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিজয়রথ নিয়ে দিল্লিতে পৌঁছে ছিলেন তাঁর বাংলা মাকে ভারত মাতায় মিলেমিশে একাকার করবেন বলে |

পশ্চিমবঙ্গ কেবল একটি প্রদেশের নাম নয়, কেবল পূর্বতন বঙ্গপ্রদেশের পশ্চিমাংশও নয়।

আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ একটি ভাবনার নাম, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালীর অস্তিত্বের নাম, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালীর অস্মিতার নাম,

পশ্চিমবঙ্গ বাঙালীর স্বাভিমানের নাম, পশ্চিমবঙ্গ এক অবর্ণনীয় ইতিহাসের নাম। মানুষ যখন প্রশ্ন করবে, ‘পশ্চিমবঙ্গ’ যখন আছে, পূর্ববঙ্গ নিশ্চয়ই ছিল, তা কোথায় গেল?

যে বাঙালী  স্বাধীনতা আন্দোলনে এত বলিদান দিয়েছে ( যদিও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বলিদানকৃত সকল বাঙালী বিপ্লবীই ছিলেন হিন্দু ,

এমনকি 1930 সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলায় শতকরা 80% মুসলিম জনগনের বাস থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক মাস্টার দা সূর্য সেনের দলে একটিও মুসলিম বিপ্লবী ছিলোনা ),

যে বাঙালী  এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, নবজাগরণে পথ দেখিয়েছে তারই উত্তরাধিকারের নাম এই  পশ্চিমবঙ্গ।

 

প্রশ্ন আসবে বাঙালী কে বা কারা ?

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে?

এবার প্রশ্ন আসবে বাঙালী কে বা কারা? বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাঙালী হয়ে যায় কি ?

আমার তো মনে হয় শুধু ভাষা দিয়ে একটি জাতি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়না যদি তাঁর সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার না থাকে |

ইংরেজি ভাষায় কথা বললেই কেউ ইংরেজ হয়ে যায় কি ?

জার্মান ভাষায় কথা বললেই জার্মান হয়ে ওঠেন কি ?

স্প্যানিশরা বহু বছর ধরে লাতিন আমেরিকার দেশ গুলিকে শাসন করার পরেও তাদের ভাষা নিজ ভঙ্গিমায় স্প্যানিশ হলেও জাতিগত ভাবে কি তারা স্প্যানিশ হতে পেরেছেন ?

পারেনি ,তেমনি বাংলা ভাষায় কথা বললেও তিনি বাঙালী হবেন না এটাই সত্যি।

বাঙালী হতে হলে বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার নিয়ে চলতে হয়।আর এই উত্তরাধিকার কয়েক হাজার বছরের পরম্পরা।

এই ইতিহাসে শ্রীচৈতন্যদেব, চন্ডীদাস, রামপ্রসাদ, শ্রীরামকৃষ্ণ আছেন; আছেন বিদ্যাসাগর ,বঙ্কিমচন্দ্র,স্বামী বিবেকানন্দ,

স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নেতাজী সুবাস বসু , ঋষি অরবিন্দের মতো মনীষীরা।

এই উত্তরাধিকারে দুর্গাপূজা; দোল, জন্মাষ্টমী, গাজন, মনসাপূজা, সরস্বতী পূজা ,লক্ষ্মী পূজা ,রামায়ণ মহাভারতও আছে।

আর এই সামগ্রিকতা যারা ভুলিয়ে দিতে চান,তারা বাংলা ভাষায় কথা বললেও বাঙালী পদবাচ্য নন;

একথা দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল বলেই ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ( বি.বি.সি.র ) তত্ত্বাবধানে আপামর বাঙালীর ভোটে শ্রেষ্ঠ বাঙালীর তালিকায় 17 তম বাঙালী স্বামী বিবেকানন্দ,

দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমান।

 

দেশ ভাগের চক্রান্তের বিরোধিতা করার ইতিহাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গের জন্ম হয়েছিল।

শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলেই কি বাঙালী হয়ে উঠতে পারে ?

যারা সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত অহরহ বিদেশি শব্দ ভাণ্ডারকে সঙ্গী করে কথা বলেন ( যেমন সকালের প্রাতঃরাশকে নাস্তা ,বিবাহ কে নিকাহ , নিমন্ত্রণকে দাওয়াত বলেন ) তাদের ভাষা কী বাংলা হতে পারে ?

যারা বাঙালীর পরম্পরাকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেকে ছুড়ে ফেলে আজও আরবীয় সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতি মনে করে ,

তারা কি শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলেই কি বাঙালী হয়ে উঠতে পারে ?

সাহিত্যে,দর্শনে,আধ্যাত্মে, বিজ্ঞানে যে বাঙালী দেশের পথ দেখিয়েছে তাকে নিমেষে মুসলিম দেশ করে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল 1946 সালের গোড়াতেই আর এই চক্রান্তের বিরোধিতা করার ইতিহাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গের জন্ম হয়েছিল।

আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন হিন্দু মহাসভার সভাপতি, হিন্দু-অস্মিতার নয়নের মণি,

ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, একাধারে শিক্ষাবিদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, আদ্যন্ত সেবাব্রতী,

নিঃস্বার্থ এক মানুষ। রাজনীতির বাইরেও তাঁর অনবদ্য ভূমিকা।

অথচ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জন্মদিনে একটি মালাও জোটে না,এটাও কি বাঙালীর লজ্জা নয় ?

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার এই চেষ্টা কেন ?

শুধুই কি ক্ষমতার লোভে ভোটব্যাংকের রাজনীতি ?

নাকি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সেই গোটা বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তানের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে আরবীয় সাম্রাজ্যের নীল নকশা ?

 

পশ্চিমবঙ্গের জন্ম! তেল আর জল কখনও মিশ খায়না।

বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস! পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে?

তেল আর জল কখনও মিশ খায়না। এতে তেলেরও দোষ নেই, জলেরও খামতি নেই। কারণ এদের বিজ্ঞান সম্মত গঠনই এমন ।

শৈশব থেকেই দেখেছি জলের বোতল এবং তেলের শিশি ভিন্ন ভিন্ন হয়। আকার আকৃতিও আলাদা।

জলই জীবন। জল ছাড়া অস্তিত্বও বিপন্ন।

তেলের গুরুত্বও কম নয় তবুও তেল না খেয়েও দিব্যি জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়।বেশি খেলে বরং হরেক রকম রোগের সম্ভাবনা।

ইদানিং তো যত সম্ভব কম তেলে রান্নার কথা বলা হচ্ছে।

জলের পাত্রটি দেখতে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লাগে, কিন্তু যত যত্ন করেই রাখুন তেলের শিশিকে নোংরা দেখাবেই।

কেমন চটচটে, পিচ্ছিল, কালচে। ভিন্ন পাত্রেই এরা ভাল থাকে।

বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস!

তবু কোনো কোন সবজান্তা তরল বিশারদ যারা বিভেদে বিশ্বাস রাখেননা,

তেল এবং জলকে একত্রে রাখার প্রয়াস করে থাকেন এই বলে যে কাল প্রবাহে একদিন সেই অসাধ্য সাধন সম্ভব হবে অর্থাৎ;

তেল এবং জল মিলেমিশে একটি অমল, বিমল, নির্মল পরিবেশ নির্মাণ করবে। পাত্রটিও ঝকঝক করবে।

তাই সাত দশক আগেও যখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা তেল এবং জলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন

( গোটা ভারতবর্ষে জনসংখ্যায় মাত্র 22% থাকা সত্ত্বেও 27% ভূমি দিয়েছিলেন ),এঁরা বললেন, থাকনা কিছু তেল।

দেখবে, একদিন জলের সাথে মিলেমিশে কী সুন্দর খেলাধুলা করবে। সেই ব্যবস্থাই হল।

কিন্তু ঘটল কি? মিশ তো খেলই না, বরং তৈল মহাশয় সোজা উপর দিকে লাফ মেরে জলের মাথার উপর নৃত্য করা শুরু করল।

জল বেচারা আশি ভাগের বেশি হয়েও সেই আবার তেলের নিচে! কারণ এটাই তেলের ধর্ম।

সে কখনও জলের নিচেও থাকবেনা, জলের সঙ্গে মিশবেও না, সোজা উপরে উঠে দাদাগিরি করতে থাকবে।

সে পাঁচ ভাগই হোক আর দশ ভাগই হোক।

 

পশ্চিমবঙ্গ একটি আশার নাম,পশ্চিমবঙ্গ একটি আশ্রয়ের নাম।

পশ্চিমবঙ্গের জন্ম! তেল এবং জলকে এক পাত্রে রাখা যায়না। মা ঠাকুরমারাও তাই বলতেন। 

বাঙালী হিন্দুর বিজয় দিবস! পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস! বর্তমান শ্চিমবঙ্গে বাঙালী হিন্দু কোন পথে?

এখানেই কী শেষ!

মাথার উপরে নৃত্য করতে করতে সে দিবারাত্র জলকে দোষ দিতে থাকবে। জলের ষড়যন্ত্রেই নাকি মিলেমিশে থাকা যাচ্ছেনা।

অতএব তেলের দাবি ভিন্ন আর একটি পাত্রের ব্যবস্থা করতেই হবে।কারণ সেটিই বিজ্ঞানসম্মত।

তেল এবং জলের পাত্র ভিন্ন হওয়াই উচিত। কিন্তু তাতেও কি রেহাই আছে!

তেলের জন্য ভিন্ন পাত্রের ব্যবস্থা হলেও কয়েক ফোঁটা তেল জলের বোতলে থেকেই যায়। অনেকে বলেন সেটাও নাকি পরিকল্পিত।

কারণ এই তেলই কালক্রমে আকারে আয়তনে বৃদ্ধি পেতে থাকে যাতে ভিন্ন আর একটি পাত্রের দাবি তোলা যায়।

আর আজ 2021 সালের 20 শে জুনও আপামর বাঙালী হিন্দু সমাজ তাদের এই শেষ আশার প্রদীপ পশ্চিমবঙ্গ নামক একটিমাত্র রাজ্যের আনাচে কানাচে বাঙালী হিন্দুর চিরাচরিত সংস্কৃতি বিপন্ন দেখেও নীরব,

আবারো দেশ ভাগের যন্ত্রণার মতো চরমভাবে নির্যাতিত হয়েও বাঙালী হিন্দু আত্মভোলা আত্মবিস্মৃত কারণ বাঙালী হিন্দুর সেদিন একটি শ্যামাপ্রসাদ থাকলেও আজ তাঁর বড়ই অভাব |

তবে একথা অনস্বীকার্য তেল এবং জলকে এক পাত্রে রাখা যায়না। মা ঠাকুরমারাও তাই বলতেন।

অসলে দুধের সাথে যত খুশি দুধ মেশানো যায় কিন্তু তরলে সাযুজ্য থাকলেও দুধের সাথে একফোঁটা লেবুর রস ও মেশানো যায় না,

আর এই সহজ সত্যিটা হিন্দু বাঙালী যেদিন আবার উপলব্ধি করতে পারবে সেদিন হয়তো নতুন করে ভাববে পশ্চিমবঙ্গ একটি আশার নাম,পশ্চিমবঙ্গ একটি আশ্রয়ের নাম।

এই বাঙ্গলার রূপেই আছে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। এটাই বিশুদ্ধ বাংলা।এটাই বাঙালী হিন্দুর সংস্কৃতিক আরাধনার অন্তিম আশ্রম|

বাঙালী কে বা কারা ?,পশ্চিমবঙ্গের জন্ম,

Vikas Samvad, Vikas Ka Samvad, Vikas Ki Samvad, Samvad Vikas Ki,

Bharat Ki Vikas, Bharat Vikas Samvad, Social Development News, Social News,

1 COMMENT

Leave a Reply

Related articles

क्या सच में बीयर नॉनवेज होती है? क्या आपके ड्रिंक में शामिल होती है मछली

क्या सच में बीयर नॉनवेज होती है? क्या आपके ड्रिंक में शामिल होती है मछली?

Hindenburg Report May Discipline Adani Group & Prosper It Further.

Hindenburg report may discipline Adani Group and prosper It further.In 2006, A renowned economic affairs expert and a very potent journalist Mr. Swaminathan S. A. Ayer researched and wrote a paper for the Cato Institute on Gujarat's new strategy of port-based development .This strategy was launched by Congress chief minister Chimanbhai Patel in the early 1990s and expanded by BJP's successors.

“सहकार मिलन” – मीरा भायंदरच्या गृहनिर्माण पुनर्विकासात सहकार भारती कडून दिशा प्रदर्शन!

“सहकार मिलन” - मीरा भायंदरच्या गृहनिर्माण पुनर्विकासात सहकार भारती कडून दिशा प्रदर्शन!आंतरराष्ट्रीय सहकार दिनाचे (११ जानेवारी) औचित्य साधून, सहकार भारती, मीरा भाईंदर जिल्हा आणिश्री सिद्धिविनायक नगर वेल्फेअर असोसिएशन यांच्या संयुक्त विद्यमाने " सहकार मिलन " या कार्यक्रमाचे आयोजन८ जानेवारी २०२३ ला श्री सिद्धिविनायक वेल्फेअर असोसिएशनच्या, सभागृहात केले होते.

गंगा जल पवित्र कियूं है ? गंगा जल की एक्स फैक्टर क्या है ? गंगा जल की विशेषताए क्या है ?

कैसे बनते है गंगा जल की रोग प्रतिरोधक क्षमता ? सनातन धर्म अनुसार गंगा जल पवित्र कियूं है ? वैज्ञानिकों के दृष्टि से गंगा जल की विशेषताए क्या है ? गंगा जल की एक्स फैक्टर क्या है ? वैज्ञानिक शोध से पता चलता है कि गंगा में एक एक्स फैक्टर (बैक्टीरियोफेज नामक वायरस गंगा के बैक्टीरिया को नष्ट कर देता है) काम करता है,जो प्रदूषकों को नष्ट करने में सक्षम है (बेशक, प्राकृतिक, रासायनिक प्रदूषक वायरस को खत्म नहीं कर सकते)।