লালসন্ত্রাসের নমুনা – সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০: মানবসভ্যতার ভিতে মার্কসবাদী বুলডোজার !

Date:

Share post:

লালসন্ত্রাসের নমুনা – সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০: মানবসভ্যতার ভিতে মার্কসবাদী বুলডোজার !

Sample of Red Terror – Saibari Massacre 1970: Marxist Bulldozer on the Base of Human Civilization!

সমাজ বিকাস সংবাদ,
কলকাতা,

লালসন্ত্রাসের নমুনা – সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০: মানবসভ্যতার ভিতে মার্কসবাদী বুলডোজার, বাংলায় CPI(M) রাজ, জ্যোতি বসুর একনায়কতন্ত্র!

আজ থেকে ঠিক ৪৭ বছর আগে, আজকের তারিখে (১৭ই মার্চ, ১৯৭০) জঘন্য

কমিউনিস্টরা বর্ধমানের সাঁই পরিবারকে দিনের আলোয় পৈশাচিক ভাবে হত্যা করে,

তাদের অপরাধ, তারা কংগ্রেস ছেড়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করতে চায়নি।

এই ঘটনাটি সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড নামে খ্যাত। এর ডিটেলস শুনলে আপনার

অন্তরাত্মা শিউড়ে উঠবে।

সেদিন সকালের জলখাবার খাচ্ছিল সাঁই পরিবার। ঘরে উপস্থিত ছিলেন নবকুমার সাঁই,

তার স্ত্রী রেখারাণী সাঁই, তার তিন ভাই মলয়, প্রণব ও বিজয় এবং তার মা মৃগনয়নী দেবী।

এছাড়াও ছেলের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৬ মাসের অমৃত কুমার জাশ

কে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন নবকুমার সাঁইয়ের বোন স্বর্ণলতা জাশ ও

স্বর্ণলতার স্বামী অমলাকান্ত দাশ এবং জনৈক ইথিকা দত্ত।

ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আমাদের প্রিয় বুদ্ধিজীবীদের পার্টির লোকেরা আগুন লাগানো

তির ছুঁড়ে সাঁইদের বাড়ির একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়।

তারপর ভিতরে ঢুকে প্রথমেই ভোজনরত প্রণবকে পিছন থেকে ছোরা মেরে হত্যা করে।

ঘটনার আকস্মিকতায় যখন সবাই চমকে উঠে পালাতে চেষ্টা করে,

তখন দেখা যায় যে আগুন তাদের রাস্তাবন্ধ করেছে।

 

লালসন্ত্রাসের নমুনা – সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০! শুরু হয় নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে অমানুষিক মার।

এবার শুরু হয় নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে অমানুষিক মার।

স্বর্ণলতা জাশের ৬ মাসের শিশুপুত্র অমৃতকে আগুনে নিক্ষেপ করে

বাংলার প্রিয় কমিউনিস্টরা। কোনমতে তাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয় উপস্থিত আত্মীয়রা।

ইতিমধ্যে মলয় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় প্রতিবেশীর বাড়িতে।

সেখানে পৌঁছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নবকুমার সাঁইয়ের একটি চোখ উপড়ে নিয়ে তাতে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়।

নবকুমার সাঁইয়ের কন্যার গৃহশিক্ষককে পর্যন্ত কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

তারপর এই বিভাজনহীন সমাজের অদর্শবাদীরা, বৃদ্ধা মৃগনয়নী দেবীকে তার ছেলের

রক্ত দিয়ে মাখা ভাত তাকে খেতে বাধ্য করে।

(বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে “Forced Cannibalism”.) এরপর সেখান থেকে এক

বিশাল বিজয় মিছিল বেরোয়।

কিন্তু এতেও শান্তি হয় না লালদের, কারণ অন্যান্য সব ব্যাপারে এরা কম-রেড

হলেও রক্তের ব্যাপারে এরা চিরকালই বেশী-রেড। তাই এক বছরের মাথায় এরা

নবকুমার সাঁই, যাকে পূর্বেই চোখ খুবলে অ্যাসিড ঢেলে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল,

তাকে হত্যা করে, টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে।

 

লালসন্ত্রাসের নমুনা— এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্ত। 

নিরুপম সেন, বিনয় কোঙার, অমল হালদার ও অনিল বোসের মত কিছু

সিপিআইএম নেতার নাম এই ঘটনার সাথে জড়িত। তারা কোনদিন সাজা পায়নি।

এদের ছাড়াও এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো

সুবোধ চৌধুরী, সুশীল ভট্টাচার্য, রামনারায়ণ গোস্বামী, আব্দুল রাশিদ,

অশ্বিনী হাজরা ইত্যাদি।এই নামগুলি বাদ দিয়ে এক খোকন সেনের নাম

পুলিশের চার্জশিটে উঠে আসে, ইনি আর কেউ নন স্বয়ং নিরুপম সেন,

এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কারিগর যিনি তার “বিনয়ী” স্বভাবের

জন্য সকলের প্রিয়।

কেসটি কোর্টে উঠলে পর, বামফ্রন্ট সরকার কোর্টের কো-অর্ডিনেশান কমিটির

মেম্বারদের সাহায্যে সমস্ত প্রাথমিক নথি ও এভিডেন্স নষ্ট করে দেয়।

এমনকি এদের নিজেদের হয়ে লড়া ডিফেন্স লইয়ার ভবদীশ রয়ও যখন ঘটনার

নারকীয়তা সম্বন্ধে জেনে তার মক্কেলদের বিরুদ্ধে চলে যেতে চায়,

তখন এই  কমিউনিস্টরা তাকে খুন করতেও বিন্দুমাত্র দ্বীধা করে না।

ধূর্ত কমিউনিস্টরা এরপর বলে যে কংগ্রেসিরা তাদের উকিলকে মেরেছে কারণ

তিনি আসল দোষী কারা জানতে পেরে গেছিলেন বলে। এরপর কেসটিকে নিয়ে

আর এগোনোর কেউ সাহস পায়নি।

 

লালসন্ত্রাসের নমুনা – সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০! বাংলায় CPI(M) রাজ এর শুরু, যাকে বলা হয় জ্যোতি বসুর একনায়কতন্ত্র।

৬ই মার্চ, ১৯৭৮; আলিপুর কোর্টের অ্যাডিশনাল সেশন জাজ (৩য় কোর্ট) শ্রী আর.কে.কর

সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করেন। ততদিনে বাংলায় CPI(M) শুরু হয়ে গেছে,

যাকে বলে জ্যোতি বসুর একনায়কতন্ত্র। কেউ এই কেসটিকে হাই কোর্টে তোলার

দুঃসাহস করেনি। কারণ বেগতিক দেখলে নিজের পক্ষের উকিলকে মারতে যারা

দ্বীধা করেনা, সেই রুথলেস টাইরেন্টদের বিরোধী করার সাহস কারোর মধ্যেই ছিল না।

লালসন্ত্রাসের নমুনা, সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড ১৯৭০, মানবসভ্যতার ভিতে, মার্কসবাদী বুলডোজার,

 Samaj Ki Samvad, জ্যোতি বসুর একনায়কতন্ত্র,

Samvad Samaj Ki, Samvad Vikas Ka, Samvad Bharat Vikas, Bharat Ka Vikas,

Society News, News of Development, Development News,

samaj, samaj vikas, samaj samvad, vikas, vikas samvad, samvad.

সমাজ, সমাজ বিকাশ, সমাজ সংবাদ, বিকাশ, বিকাশ সংবাদ, সংবাদ, সমাজ বিকাশ সংবাদ

व्यापार संवाद, आयुर्वेद संवाद, गैजेट्स संवाद, समाज विकास संवाद

1 COMMENT

Leave a Reply

Related articles

कांदा- सोयाबीन- धान उत्पादकांना केंद्राचा दिलासा! उप मुख्यामंत्री देवेंद्र फडणवीस यांनी मानले पंतप्रधानांचे आभार!

पंतप्रधान नरेंद्र मोदी यांच्या नेतृत्वाखालील केंद्र सरकारने बळीराजासाठी आज असंख्य महत्त्वपूर्ण निर्णय घेतले आहेत.त्यात खास करून कांदा, सोयाबीन, धान आणि तेलबिया उत्पादक शेतकऱ्यांना मोठा दिलासा मिळणार आहे.या निर्णयाबद्दल राज्याचे उपमुख्यमंत्री देवेंद्र फडणवीस यांनी पंतप्रधान नरेंद्र मोदी यांचे विशेष आभार मानले आहेत.

उद्धव ठाकरेंचा स्वीय सहायक पैसे घेऊन पद बिक्री करतो! – शिंदेसेना – भाजपचे गंभीर आरोप!

शिवसेनेचे आमदार संजय शिरसाट यांच्यासह माजी खासदार आणि पक्षाचे प्रवक्ते संजय निरुपम आणि भाजप नेते आशिष शेलार यांनी उद्धव ठाकरेंचे स्वीय सहायक (P.A) रवी म्हात्रे यांच्यावर गंभीर आरोप केले.

क्या है आर्थिक रूप से पिछरा वर्ग की आरक्षण ? ई डब्ल्यू एस आरक्षण का लाभ किसे और कैसे मिलेगा ?

क्या है आर्थिक रूप से पिछरा वर्ग की आरक्षण ?   ई डब्ल्यू एस आरक्षण का लाभ किसे और कैसे मिलेगा ?केंद्र में नरेन्द्र मोदी सरकार की एक ऐतिहासिक फैसले को न्यायिक वैधता देते हुएभारत की सर्वोच्च न्यायालय ने आर्थिक रूप से कमजोर वर्गों अर्थात ई डब्ल्यू एस आरक्षण को न्यायिक मान्यता दिया!सुप्रीम कोर्ट की पांच-न्यायाधीशों की पीठ ने सोमवार को 3-2 के फैसले में सरकारी नौकरियों औरशैक्षणिक संस्थानों में आर्थिक रूप से कमजोर वर्गों (ई डब्ल्यू एस) के लिए 10% आरक्षण की वैधता को बरकरार रखा।

चंद्रकांत दादा पाटील मिल कामगार आई बडील्यांचा घरी जन्माला एक संवेदनशील आणि कर्तबगार नेता !

चंद्रकांत दादा पाटील मिल कामगार आई बडील्यांचा घरी जन्माला एक संवेदनशील आणि कर्तबगार नेता !- डॉ. दिनेश थिटे (बरिष्ठ पत्रकार...